কিছুতেই থামছে না অপরিকল্পিত পুকুর খনন

কিছুতেই থামছে না অপরিকল্পিত পুকুর খনন

কিছুতেই থামছে না অপরিকল্পিত পুকুর খনন
কিছুতেই থামছে না অপরিকল্পিত পুকুর খনন

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও কিছুতেই থামছেনা পবা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অপরিকল্পিত পুকুর খননের কাজ। এতে বিশ্লেষকরা মনে করছেন প্রশাসনের উদাসীনতা ও রাজনৈতিক জবাবদিহিতা না থাকায় এ কাজ অব্যাহত রয়েছে।

এসব অপরিকল্পিত পুকুর খননের জন্য একদিকে কৃষি জমিতে হচ্ছে জলাবদ্ধতা অন্যদিকে অধিক লাভের আশায় পুকুর খননে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কৃষি জমি ও পরিবেশের উপর। আর পুকুর খননের মাটি পরিবহনের জন্য গ্রামীণ রাস্তাগুলোতে দেখা দিয়েছে বেহাল দশা।

কিছুদিন আগে খড়খড়ি থেকে তাহেরপুর পর্যন্ত কোটি টাকা খরচে নির্মিত হয়েছে এই রাস্তা। এখন যেন ব্যয়বহুল এই রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে মাটি বহনকারী ড্রাম ট্রাক ও ট্রলির কারণে। এই সড়কে প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়রা বলছেন।

এলাকার সচেতনমহল, পরিবেশবাদি ও ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মদদেই চলছে এই পুকুর খনননের মহোৎসব। এদিকে পবা উপজেলার ভালাম, ভবানীপুর, মেজভালাম, গোয়ালদো ভালামও ঘোলহাড়িয়া এর আশপাশের এলাকায় পানি নিস্কাশনের ক্যানেল না রেখে অবাধে চলছে পুকুর খনন। আশরাফুল, আলিম, রাজিব হারুন, কুদ্দুস, নজরুল ও মান্নান অবাধে কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করায় কৃষিজীবিদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

রাজশাহী জেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে বাণিজ্যিক ভাবে মাছের খামার। কৃষি জমি লিজ নিয়ে এসব খামারের নামে চলছে মাটি বিক্রির মহাউৎসব আর এসব কাজে জড়িয়ে আছে বর্তমান সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতাকর্মী।
স্থানীয় প্রশাসন তাদেরকে নীরব সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, আগে তাও মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা হতো আটক ও করা হতো আবার টাকা দিলেই সব মাফ। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশও মসজিদ মাদ্রসার নামে চাঁদা আদায়ে নেমেছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, পবা উপজেলার বরগাছি ইউনিয়নের

ভালাম এলাকায় প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ জমিই এখন হয় পুকুর, নয় ইটভাটার দখলে। এরপরেই সগৌরবে চলছে অপরিকল্পিত পুকুর খনন।

আর এই পুকুরের মাটি বহন করেছে ড্রাম ট্রাকে। এছাড়াও রয়েছে ট্রাক্টর ও কাকড়া গাড়ি। মাটি বহনের সময়ে উড়ন্ত ধুলাবালিতে সয়লাব বাড়ি ঘর। ধুলাবালিতে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের রোগ-ব্যাধি লেগেই আছে। এছাড়াও ওই রাস্তাগুলোতে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন প্রশাসনে আবেদন দিয়েও কাজ হচ্ছে না।

এতে ওই এলাকার গ্রামীণ রাস্তা একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ফাটল ধরেছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি নির্মিত খড়খড়ি বাইপাস থেকে রামচন্দ্রপুর হাট হয়ে দুর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলার রাস্তায়।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক হলো বরগাছি ইউনিয়নের ভালাম এলাকায়। এছাড়া ভবানীপুর কালচিকা রামচন্দ্রপুর সারেংপুর উল্লেখযোগ্য।

এই পুকুরটি খনন করেছেন ভালাম এলাকার সাবেক মেম্বার আনসার আলির ছেলে স্বপন একই সাথে দুইটি পুকুর খনন করছে ভালাম এলাকায় তার বিরুদ্ধে কিছু বললেই মিথ্যা মামলার ভয় ভিতি এবং মেরে ফেলার হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে বলে একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করেন।

পবা উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি শেখ মো. এহেসান উদ্দিন বলেন, অনেক আগেই উপজেলার বরগাছি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পুকুরখনন হয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্তমানে পানি হলেই আবাদ ডুবে যায়। যে কারণে অনেক কৃষক বাধ্য হয়েই পুকুরখননের দিকে ঝুকেছে। তবে প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply